পীরগঞ্জ(রংপুর) প্রতিনিধি
বাংলাদেশ জাতীয় সংসদের স্পীকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী এমপি বলেছেন, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু ছিলেন এমন একজন নেতা যিনি তাঁর মাতৃভাষার মর্যাদা সবচেয়ে বেশী সমুন্নত রেখেছেন। ক্ষনজমা এই মহাপুরুষ প্রথম মাতৃভাষা বাংলায় জাতিসংঘে ভাষন দিয়েছেন, নিজের মাতৃভাষাকে অনন্য মর্যাদায় প্রতিষ্ঠা করেছেন। শিল্পপতি প্রযুক্তিবিদ ইঞ্জিনিয়ার সাঈদ রেজা শান্ত'র সার্বিক ব্যবস্থাপনায় হাসু মনির পাঠশালার' সহযোগিতায়,আমরা 'ক' জন মুজিব সেনার আয়োজনে সোমবার পীরগঞ্জ উপজেলা পরিষদ মিলনায়তনে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ৪৫তম শাহাদাত বার্ষিকী ও জাতীয় শোক দিবস উপলক্ষে আয়োজিত খোকা যখন ছোট ছিলেন ও বঙ্গবন্ধুর অসামপ্ত আত্মজীবনী বই শিক্ষার্থী ও বিভন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের মাঝে বিতরন অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে স্পীকার এসব কথা বলেন। শোক দিবস উপলক্ষে এমন আয়োজনের জন্য তিনি আয়োজকদের আন্তরিক কৃতজ্ঞতা জ্ঞাপন করেন।ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী বলেন, ১৫ আগষ্ঠ ১৯৭৫ বাঙ্গালী জাতির জন্য এক কলংকিত অধ্যায় সেই দিন আমরা হারিয়েছি সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙ্গালী, স্বাধীন বাংলাদেশের স্বপ্নদ্রষ্ঠা ও স্থপতি, বাঙ্গালী জাতির অবিসংবাদিত নেতা জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান এবং বঙ্গমাতা ফজিলাতুন্নেছা মুজিব। ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট বঙ্গবন্ধু ও বেগম মুজিব, তাদের দুই পুত্র, দুই পুত্রবধূ ও শিশু শেখ রাসেলকে নির্মমভাবে হত্যা করা হয়। এসময় ১৫ আগস্টে শহীদ সকলের প্রতি গভীর শ্রদ্ধা জানান স্পীকার।শেখ মুজিবুর রহমান শুধু বাঙালি জাতির নেতা না তিনি সমস্ত বিশ্বের শোষিত বঞ্চিত মানুষের বলিষ্ঠ কন্ঠস্বর। জাতির পিতা আন্তজার্তিক অঙ্গনে তিনি বলেছিলেন সমস্ত বিশ্ব দু'ভাগে বিভক্ত শোষক এবং শোষিত , আমি শোষিতদের পক্ষে। বঙ্গবন্ধুর ব্যাক্তিত্ব, বক্তব্য গভীরভাবে বিশ্লেষন করতে হবে, জানতে হবে বঙ্গবন্ধুর চিন্তা চেতনাকে ধারন করতে হবে এবং প্রজন্ম থেকে প্রজন্ম আদর্শকে ছড়িয়ে দিতে হবে। তাঁর সাহস, আপসহীনতা, দেশপ্রেম ও মানুষের জন্য ভালবাসা এই গুণগুলোকে আমরা ধারণ ও বাস্তবায়ন করতে পারলেই বঙ্গবন্ধুর প্রতি পরিপূর্ণ সম্মান জানাতে পারব। স্পীকার বলেন, আমরা আজ স্বাধীন বাংলাদেশের নাগরিক। যিনি দিয়ে গেছেন এই স্বাধীন-সার্বভৌম দেশ, সংবিধান, লাল-সবুজ পতাকা, তিনি হলেন জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান। বাংলার মানুষের স্বাধীনতা দেওয়ার জন্য একটি জাতিকে পরাধীনতা মুক্তি দেওয়ার লক্ষে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব তাঁর সারাজীবন সংগ্রাম আন্দোলন করেছেন, জেল-জুলুম, নির্যাতন সহ্য করেছেন কিন্তু অন্যায়ের সাথে কখনই আপোষ করেননি, অন্যায়ের কাছে মাথা নত করেননি। তাঁর একটাই লক্ষ্য ছিল বাঙ্গালী জাতির অর্থনৈতিক ও রাজনৈতিক মুক্তি নিশ্চিত করা। এই জাতিকে শোষন বঞ্চনা দারিদ্রতার হাত থেকে মুক্তি দেওয়া । এরই লক্ষে বর্তমান প্রধানমন্ত্রী বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনা অক্লান্ত পরিশ্রমের মাধ্যমে ক্ষুধা ও দারিদ্র্যমুক্ত বাংলাদেশ গঠনে কাজ করে যাচ্ছেন।প্রায়ত পরমাণু বিজ্ঞানী ড. এম এ ওয়াজেদ মিয়ার ভাাতিজা ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ভাসুর পুত্র শিল্পপতি প্রযুক্তিবিদ ইঞ্জিনিয়ার সাঈদ রেজা শান্ত'র সার্বিক ব্যবস্থাপনায় উপজেলা পরিষদের সাবেক ভাইস চেয়ারম্যান মোনায়েম সরকার মানুর সভাপতিত্বে ও পীরগঞ্জ উপজেলা সেচ্ছাসেবক লীগের সভাপতি এ জেড এম সেকেন্দার আলী মন্ডলের সঞ্চালনায় বক্তব্য রাখেন উপজেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি এডভোকেট আজিজুর রহমান রাঙ্গা, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মেজবাউল হোসেন, রংপুর জেলা আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা খলিলুর রহমান মন্ডল, সাবেক উপদেষ্টা নূরুল আমিন রাজা , সাপ্তাহিক বজ্রকথার সম্পাদক ও প্রকাশক কবি সুলতান আহম্মেদ সোনা, কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের সাবেক যুগ্ম সম্পাদক ও জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের সহকারি অধ্যাপক সাদিদ জাহান সৈকত, হাজী বয়েন উদ্দিন উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক আমিনুর রহমান, উপজেলা হিন্দু, বৌদ্ধ, খ্রিষ্টান ঐক্য পরিষদের সভাপতি শ্রী সন্তোস কুমার সরকার পৌর কাউন্সিলর প্রদীপ কমার বিশ্বাস পবিত্র, স্বেচ্ছাসেবক লীগের সাংগাঠনিক সম্পাদক মাসুদ মিয়াসহ ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের নেতৃবৃন্দ বক্তব্য রাখেন। অনুষ্ঠানে হাফেজ রফিকুল দোয়া ও মোনাজাত পরিচালনা করেন। অনুষ্ঠানে শিক্ষক, ছাত্র-ছাত্রী, ছাত্রলীগ, যুবলীগ, স্বেচ্ছাসেবকলীগের স্থানীয় নেতৃবৃন্দ ও গণমাধ্যমকর্মীগণ উপস্থিত ছিলেন।